Barasat Court Lawyer Death: কাজের ব্যস্ততা। মাথায় মামলার দুশ্চিন্তা। এসব নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বারাসতে রেললাইন পেরোতে গিয়েছিলেন সিটি সিভিল কোর্টের আইনজীবী বন্দনা মাইতি। দুর্ভাগ্যবশত, সেই সময়ই ট্রেন ছুটে আসছিল ওই লাইন দিয়ে। ট্রেনের তলায় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বন্দনাদেবীর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারাসত বার কাউন্সিলে। রেললাইনে বন্দনাদেবীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় কোর্টের অব্যবস্থাকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়, রেললাইনের একদিকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবন। অন্যদিকে, কনজিউমার কোর্ট অর্থাৎ ক্রেতাসুরক্ষা আদালত। কাজের ব্যস্ততার সময় একই দিনে পরপর গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকলে সময় বাঁচাতে আইনজীবীদের রেললাইন পেরিয়েই পৌঁছাতে হয় ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে বা প্রশাসনিক ভবনে। সাংবাদিক বৈঠকে আইনজীবীদের দাবি, এর জেরে প্রায়ই প্রাণ হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আদালত কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানোর পরেও পরিস্থিতির কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে যাওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন - জুড়ে গেল রিলায়েন্স ডিজনি! রাশ ধরলেন নীতা আম্বানি, কী কী বদল আসছে অ্যাপে
সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ক্রেতাসুরক্ষা আদালত এমনিতেও সঠিক স্থানে নেই বলে তারা মনে করেন। প্রশাসনিক ভবনে এই আদালত বসলে সকলেরই সুবিধা হত। কিন্তু রেললাইনের ওপারে একটি বাজারের পরিবেশে রয়েছে আদালতটি। যে কারণে প্রায়ই সময়ের অভাবে রেললাইন পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় আইনজীবীদের। এই দিনও বন্দনাদেবীর ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন প্রবীণ আইনজীবীরা। তাঁদের কথায়, এর আগেও বহুবার আদালত কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে, ক্রেতাসুরক্ষা আদালতকে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আসার। কিন্তু সেই কথা কানেই তোলা হয়নি। এবার আরও উচ্চস্তরে নিজেদের দাবি নিয়ে পৌঁছানোর চিন্তাভাবনা করছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন - টানলেই বাড়বে ফোনের স্ক্রিন! LG-র স্ট্রেচেবল ডিসপ্লে-তে এবার একগুচ্ছ ফিচার
যতদিন না দাবিদাওয়া মিটছে, ততদিন ক্রেতাসুরক্ষা আদলতের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার কাউন্সিল। এই প্রসঙ্গে, এক প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য বহু মামলাই দীর্ঘদিন ধরে চলে আদালতে। কিন্তু আইনজীবীদের একসঙ্গে দশটি মামলার কথা ভাবতে হয়। তাই তাদের প্রাণটা আগে। তারা থাকলে মামলাগুলিরও ঠিক নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়। আইনজীবীদের নিরাপত্তার দাবি তুলেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় বার কাউন্সিল।