করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। তবে বেশ কিছু এলাকায় এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের এক নম্বর ব্লকে কয়েকদিন ধরেই করোনা ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে রাশ টানতে এলাকায় কিছুদিন আগেই লকডাউন ঘোষণা করেছেন বিডিও। লকডাউন ঘোষণা করে এবার বিডিওর বিরুদ্ধেই বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল। বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে চড়ুইভাতি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বিডিও ফতেমা কাওসারের বিরুদ্ধে। এরকম বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরই তুঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটু বিডিওর এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, 'আইন সকলের জন্য সমান। বিধি নিষেধ শুধু সাধারণ মানুষের জন্য নয়, সকলকেই মানতে হবে। বিডিও নিজেই লকডাউন জারি করে নিজেই নিয়ম ভেঙেছেন। নিয়ম ভাঙার জন্য সাধারণ মানুষের যদি শাস্তি হয় তাহলে বিডিওরও শাস্তি হওয়া উচিত।' যদিও এ নিয়ে কোনও রকমের মুখ খুলতে চাননি বিডিও।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা দেওয়ায় গত ১৮ জানুয়ারি উস্তি সহ ৮টি এলাকায় শনিবার ও রবিবার লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করেছিলেন বিডিও। সপ্তাহে এই দুদিন ওই এলাকাগুলিতে লকডাউন থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, নির্দেশিকা জারি পরেও রবিবার মগরাহাটের একটি বাগানবাড়িতে বিডিও চড়ুইভাতিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। চড়ুইভাতিতে প্রায় ১০০ এর বেশি লোক ছিল। তারা জানাচ্ছেন, বিডিও অফিসের সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে এই পিকনিক চলছিল।
এই অবস্থায় স্থানীয়দের প্রশ্ন যেখানে সপ্তাহে দুদিন সমস্ত দোকানপাট, বাজার ,অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও সেখানে তিনি নিজেই কীভাবে বিধি ভেঙে চড়ুইভাতিতে অংশগ্রহণ করলেন বা চড়ুইভাতির অনুমতি দিলেন?