পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ ফেলের নিয়ম কি ফিরে আসবে? রাজ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের পড়াশোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম ফিরবে কি ফিরবে না, তা এখনও জানা যায়নি। ফলে চলতি বছরে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে শিক্ষকমহল। কেন্দ্র সম্প্রতি পাশ ফেলের নিয়ম ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যাপারে রাজ্য তার সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে শিক্ষাবর্ষ শুরু হতেই ধন্দ বাড়ছে শিক্ষকমহলে। পাশ-ফেলের নিয়ম ফিরলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও চালু করতে হবে। এর জন্য বছরের মাঝখানে বিভিন্ন সময় মূল্যায়ন পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। কিন্তু রাজ্যের সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি বলেই খবর।
আরও পড়ুন - AI-এর জেরেই বৃদ্ধি ৩০ শতাংশ! ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বন্ধ করে দিল এই গ্লোবাল ফার্ম
‘একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া উচিত’
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছিল, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশফেল ফিরে আসছে। কিন্তু স্কুলগুলিতে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি আসেনি। শিক্ষকদের একাংশের মত, পাশ-ফেল চালু হোক বা না হোক এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের দেওয়া উচিত। চালু না হলেও সেটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো উচিত। শিক্ষাবর্ষের গোড়াতেই এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া জরুরি বলে মনে করছে শিক্ষকমহলের একাংশ। কারণ বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাশ-ফেল চালু করলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হবে শিক্ষকরাও। কারণ মূল্যায়নের পদ্ধতি এক্ষেত্রে স্কুলের হাতে থাকে। সেদিকটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বছরের মাঝামাঝি সময় বিজ্ঞপ্তি বেরোলে যা কঠিন।
গেজেটের সঙ্গে মেলেনি নিয়ম
কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় গত ডিসেম্বরে। এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ২০১৯ সালের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল পাশ-ফেল চালু করার কথা। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফের পাশ-ফেল চালু করার কথা গেজেটে থাকলেও চালু কিন্তু হয়নি। ফলে ফের একদফা ধন্দ জাগিয়েছে এই মন্তব্য।
আরও পড়ুন - দামি পাতিলেবুর খোসা ফেলে দিচ্ছেন? উপকারগুলি জানলে অন্য কিছু করবেন
বাংলার শিক্ষা পোর্টালেও খবর নেই
অন্যদিকে শিক্ষকমহলের একাংশের মত, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু হলে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে কিছু বদল আসার কথা। এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু বদল আসেনি বলেই জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। ফলে কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি আসবে আর কবেই বা স্কুলে স্কুলে দরকারি প্রস্তুতি শুরু হবে, তা কেউ জানেন না। আপাতত শিক্ষকমহল যেমন অন্ধকারে, তেমনই চিন্তায় অভিভাবকরাও।