দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিজেপির পঞ্চায়েত উপ-প্রধান যেতেই তাঁকে মেরে তাড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের অভিযোগ, সরকারি কর্মসূচিকে দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও দুয়ারে সরকারের লোগো ছাড়া কীভাবে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হল। এর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। এর জেরেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছিলেন তৃণমূলের নেতা। সেই খবর পেয়ে সেখানে যান বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান স্বপন বেরা। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে যেতেই তাঁকে সেখানে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে। এই প্রসঙ্গে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি বুদ্ধদেব পলমল জানান, 'দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলাকালীন দেখা যায় যে গোটা সরকারি কর্মসূচি দলীয় কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ওটা দেখে মনেই হচ্ছিল না যে ওটা সরকারি কর্মসূচি। মনে হচ্ছিল, সরকারের নয়। ওটা তৃণমূলের নিজস্ব কর্মসূচি।'
তবে এই প্রসঙ্গে অবশ্য অন্য কথাই শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কথায়। বড়কলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘দুয়ারে সরকারের ব্যানার লাগানো নিয়ে আসলে অশান্তির সূত্রপাত। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির উপ-প্রধান দুয়ারে সরকারের একটি ব্যানার দেন, যেখানে দুয়ারে সরকারের কোনও লোগো ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি ছিল না। এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। সকালে শিবিরে এসে অশান্তি করার চেষ্টা করেন বিজেপির উপপ্রধান। তখনই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।’
নিয়ম অনুযায়ী, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সরকারি আধিকারিক ছাড়া অন্য কোনও দলীয় নেতা কর্মীদের ঢোকার অনুমতি নেই। সেদিক থেকে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে দলের একজন কর্মী এভাবে সরকারি ক্যাম্পে যেতে পারেন, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দুই দলের কর্মীরাই।