বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ঘিরে একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ওপার বাংলার ঘটনা ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এপার বাংলার মানুষও। তারই মাঝে এদিন বিজেপির ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখার সুর চড়ালেন বাংলাদেশ ইস্যুতে।
অমরনাথ শাখার বলেন,‘একটু চেতাবনি দেওয়া হয়েছে আরকি শুধরে যাওয়ার জন্য, যদি না হয়, যেটা ওষুধ সেটার ট্রিটমেন্ট করা হবে।’ এরপরই তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়, বাংলাদেশের এক ব্যক্তির ভাইরাল হওয়া দাবি নিয়ে। সদ্য এক ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা যায়, বাংলাদেশের এক বর্ষীয়ান ব্যক্তি দাবি করছেন যে, তাঁরা কলকাতা দখল করবেন। সেই ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন কর্মী বলে উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গে অমরনাথ শাখারকে প্রশ্ন করা হয়। বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার বলেন,‘আমরা যাঁরা বাংলাদেশকে জন্ম দিয়েছি.. তারা (বাংলাদেশ) যদি বলে ভারতবর্ষ দখল করবে, তাহলে তা হাস্যস্পদ ব্যাপার’।
উল্লেখ্য, সদ্য বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনার পারদ। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের শুনানি চট্টগ্রাম আদালতে খারিজ হয়। তবে তার পরও লড়াই ছাড়েননি চিন্ময়পক্ষের আইনজীবী তথা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। অভিযোগ, গতকাল তাঁকে কোর্ট চত্বরে ব্যাপক হেনস্থার শিকার হতে হয়। আসে প্রাণ নাশের হুমকি। যদিও সেই হুমকি উপেক্ষা করে তিনি এদিন ফের আবেদন করবেন বলে খবর ছিল।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে সদ্য ভারত থেকে ঢাকায় পা রেখেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিন্দনীয় বিষয়। এছাড়াও তিনি জানান, বাংলাদেশ সদ্য গঠিত ইউনুস সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় ভারত। এদিকে, কিছুদিন আগে, আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিকভবনে একদল বিক্ষোভকারীর প্রবেশে দুই দেশের সম্পর্কে বেশ কিছুটা শীতলতা আসে। ঘটনার তীব্র নিন্দ করে দিল্লি। ঢাকার দাবি, এই বিক্ষোভকারীদের আইন লঙ্ঘন করে প্রবেশ, মূলত পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা।