ফের রাজধানীতে শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাতে কলকাতার খারাপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এই নিয়ে গত ৩০ দিয়ে এটি শুভেন্দুর দ্বিতীয় দিল্লি সফর। রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতে বাকি আর একদিন। এর আগে শুভেন্দুর দিল্লি সফর নিয়ে ক্রমেই জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে এর আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই নির্বাচনের পর কার্যকারিণী সমিতির প্রথম বৈঠকে বসে বঙ্গ-বিজেপি। সেই বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি। দেখা মেলেনি পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রও। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির অন্দরে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এই নেতা। তাঁর সঙ্গে মুকুলের সম্পর্কের কথা তুলে কলকাতায় পোস্টারও পড়ে।
এদিকে দলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দর বেড়েছে শুভেন্দুর। রাজ্য কমিটির বৈঠকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়। শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ায়, বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী তিনি দিলীপ ঘোষের মতো সমান গুরুত্ব পাবেন এখন থেকে। এই বর্ধিত দায়িত্ব ও সম্মান পাওয়ার পর প্রথমবার দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু, আর তাই এই সফর ঘিরে জল্পনা বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, বিজেপির বৈঠকে যে রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হয়, তাতে দিলীপ ঘোষের নাম একবার, শুভেন্দু অধিকারীর নাম তিনবার উল্লেখ করা হয়। রাজনৈতিক প্রস্তাবে যে অভিনন্দন বার্তা, তাতে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে একই সঙ্গে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এর পর আরও দুই বার শুভেন্দু অধিকারীর নাম এসেছে। আগামিদিনে বিধানসভায় বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির ভূমিকা এই কলামে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত কলামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৯টার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাই দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সেই উড়ান আধ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করে।