মঙ্গলবার সকালের নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইবেরবাদ এলাকায় একটি জলাশয় থেকে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন করে ছেলেটিকে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নবম শ্রেণির ছাত্র বিশালের বাড়িতে সোমবার সকালে তার এক বন্ধু আসে। তার সঙ্গে সে স্কুলে যায়। ছুটির পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করেন তার পরিবারের লোকজন। বিষয়টি পুলিশ জানানোর জন্য যখন তাঁরা থানায় যাচ্ছিলেন সেই সময় একটি মাছ চাষের জলাশয়ে বিশালের দেহ দেখতে পান।
ঘটনার পর থেকে বিশালের দু’তিনজন বন্ধু নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছ তারা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে এক ছাত্রীকে দেখতে পাওয়া যায়।
পরিবারে দাবি খুন করা হয়েছে বিশালকে। জলে পড়ে মারা যায়নি সে। কারণ, বিশাল সাঁতার জানত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বিশালের বাবা মুকেশ করণ জানিয়েছেন, ‘‘ সকালে টিফিন করে স্কুলে গিয়েছিল। থানায় যাওয়ার পথে ছেলেকে জলাশয়ের কাছে পড়ে থাকতে দেখি। ছেলের মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। ওকে খুনে করা হয়েছে।’
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ একে খুন ধরে নিয়েই এগোচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের বিষয়টিও থাকতে পারে। কারণ ঘটনার সময় তিনজন ছাত্রের সঙ্গে একজন ছাত্রীও ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।