আর জি কর-এ ধরনা মঞ্চে এক পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। ব্যাগটি ঘিরে ছড়িয়েছে বোমাতঙ্ক। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছচ্ছে বম্ব স্কোয়াড। একদিকে, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে বিতক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তখনই আরজি কর-এ ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে দেখা গেল একটি সন্দেহজনক ব্যাগ। ব্যাগে কি রয়েছে বোমা? প্রশ্ন উঠতেই সেখানে ছুটল বম্বস্কোয়াড।
উল্লেখ্য, আরজি কর-এ মূল ফটকের সামনেই জরুরি বিভাগের কাছে রয়েছে ধরনা মঞ্চ। সেখানেই ওই পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যাগ বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পড়েছিল। এভাবে এতক্ষণ ধরে ওই ব্যাগ পড়ে থাকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। এলাকা মুহূর্তে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে যেখানে ডাক্তারদের আটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে এই ধরনা-বিক্ষোভ চলছে, সেখানে কীভাবে ওই মঞ্চে ব্যাগটি এল? ব্যাগে কি সত্যিই কোনও সন্দেহজনক বস্তু রয়েছে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বেশ কিছুক্ষণ ব্যাগটি সেখানে পড়ে থাকার পরও সেটি নেয়নি কেউ। তখন থেকেই সন্দেহ জানা বাঁধতে থাকে। কে রেখে গিয়েছে, সেখানে ব্যাগ? বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ধরনা মঞ্চে শুধু চিকিৎসকরাই নন, রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষও। ফলে নিরাপত্তার প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে। এই অবস্থায় ধরনা মঞ্চ থেকে সকলকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ ওই ব্যাগকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যাগটি ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধতেই তাক ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। আপাতত ধরনা মঞ্চের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বম্বো স্কোয়াড সেখানে পৌঁছলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অন্দরে এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্ষোভে উত্তাল বাংলা। নিজের চেনা পরিসরে, ব্যস্ত শহরের মধ্যে, নিজের কর্মক্ষেত্রে র অন্দরে এক তরুণী চিকিৎসকের এভাবে মৃত্যু নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এর আগে এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে সিবিআই তদন্তে এখনও পর্যন্ত খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সঞ্জয় রায়ই একমাত্র ধৃত হিসাবে উঠে আসছে।