Bong Guy- Debangshu Bhattacharya: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল সব মহলেই। ইউটিউবারদের মধ্যে থেকে সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বং গাই কিরণও। এবার তারই মাসুল গুনতে হচ্ছে কিরণকে? সোমবার একটি ফেসবুক পোস্টে ইউটিউবারের দাবি, রীতিমতো মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। পরে অবশ্য পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। স্ট্যাটাস পোস্ট করে জানানো হয় তার কারণ।
সোমবার রাত আটটা নাগাদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন কিরণ। রীতিমতো আতঙ্কের সুরে ওই পোস্টে লেখেন, তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রতিবাদের জেরে তাঁকে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে (Bong Guy Received Threat)। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে গিয়ে তাঁকে এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। একটি শো করতে কৃষ্ণনগর গিয়েছিলেন কিরণ। ইউটিউবারের দাবি, সেখানেই এক দল ব্যক্তির হাতে নিগ্রহের শিকার হতে যাচ্ছিলেন তিনি। পোস্টে কিরণ বিকাশ কর্মকার নামে একটি ‘প্রভাবশালী’র নামও উল্লেখ করেছেন। তাঁর কমেন্ট ও কার্যকলাপের জন্যই আতঙ্কিত বং গাই। বলেছেন, ‘তিনি বেশ প্রভাবশালী মানুষ। দেবাংশুর সঙ্গে তাঁর নানা ছবিও রয়েছে।…আমি জানি, দেবাংশু এই ধরনের কথাবার্তা কোনওদিনই সাপোর্ট করবে না।’
আরজি কর কাণ্ডে বং গাইয়ের পোস্ট - RG Kar-Bong Guy: ‘সমস্যাটা কোথায় জানেন, আরজি করের ঘটনা নিয়ে আমরা সবাই প্রতিবাদ করছি…’, আরজি কর-কাণ্ডে মুখ খুললেন বং গাই

বিষয়টি নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত বং গাই এই ব্যাপারে কী করা উচিত, সেই নিয়ে সকলের পরামর্শও চান। জানান, বাড়ির কাছে বলে এই নিয়ে তিনি ভয় পাচ্ছেন। একইসঙ্গে বিকাশ বলে ওই ব্যক্তির বন্ধুরা মিলে কিরণের খ্যাতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করা হয়। তাঁরা তাঁর আর্থিক ক্ষতি করতে চায় বলে জানান বং গাই। পোস্টের সঙ্গে একটি কমেন্টের স্ক্রিনশটও ছিল। সেখানে বিকাশ কর্মকার নামে অভিযুক্ত ব্যক্তির কমেন্ট দেখা যায়। কমেন্টে লেখা, ‘দলের ছেলেরা জুতো নিয়ে রেডি থাকুক। যদি সেটা পারো তবে বুঝবো কিছু একটা করেছো।’ (ভাইরাল স্ক্রিনশটের অবশ্য সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)
পোস্টটি করার আধঘণ্টা পর তা অবশ্য ডিলিট করে দেন কিরণ দত্ত। একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন বং গাই। সেখানে লেখেন, ‘আমায় হুমকি দেওয়া মন্তব্যটি ডিলিট করায় আমিও পোস্টটা ডিলিট করলাম। ভবিষ্যতেও আমায় নিয়ে খিল্লি করুন, চাপলেস কিন্তু মারার হুমকি দেবেন না সেটা সত্যি গ্রহণযোগ্য নয়।’ আপাতত তাঁর প্রোফাইলে গেলে সেই স্ট্যাটাসটি দৃশ্যমান।

ঘটনাটি বিস্তারিত জানার জন্য HT বাংলার তরফে বং গাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় দেবাংশু ভট্টাচার্যের সঙ্গেও। তাঁকেও ফোনে পাওয়া যায়নি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে পর্যন্ত।