মূল মনোমালিন্যের সূত্রপাত বাড়িতে টাওয়ার বসানো নিয়ে। সেই ঘটনার জেরে কলকাতার এয়ারপোর্ট এলাকার বিদ্যাসাগর পল্লীর বাসিন্দা কৃষ্ণ মণ্ডল ও গোপাল মণ্ডলের মধ্যে সংঘাতের শুরু হয়। অভিযোগ বুধবার, নতুন করে বাড়িতে কাপড় মেলাকে কেন্দ্র করে ভাই গোপাল মণ্ডলের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দাদা কৃষ্ণমণ্ডলের পরিবারের ঝামেলা শুরু হয়। শেষে ভাই গোপাল মণ্ডলকে দাদা কৃষ্ণ মণ্ডল খুন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়েই এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি বাড়িতে কাপড় শুকোনের জন্য মেলার জায়গা নিয়ে কৃষ্ণ মণ্ডলের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে যান গোপাল মণ্ডলের স্ত্রী। অভিযোগ গোপাল মণ্ডলের স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। এরপর গোপাল মণ্ডল বাড়িতে ফিরেই জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে এভাবে মারধর করা হয়। ক্ষোভে ফুঁসে উঠে দাদা কৃষ্ণ মণ্ডলের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন ভাই গোপাল। অভিযোগ এরপরই কৃষ্ণ ও তার ছেলে গোপালকে বেধড়ক মারধর করেন। শেষে গুরুতর আহত হয়ে যান গোপাল। এমন অবস্থায় প্রতিবেশীরা গোপালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে খবর। হাসপাতালে চিকিৎসকরা গোপালকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এরপরই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষোভ উগড়ে দেন দাদা কৃষ্ণ মণ্ডলের উপর। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন বহুদিন ধরেই দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে বচসা লেগে থাকত। শেষে বহু সময়ই প্রতিবেশীরা তার মধ্যস্থতা করেন। বাড়িতে টাওয়ার বসানো নিয়ে শুরু হয় যাবতীয় সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। যা বুধবার চরম পরিণতির দিকে এগিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।