আরও একবার ভারত, বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার খবর। এবার, এপার বাংলার মানুষের বিক্ষোভের জেরে কাঁটাতার লাগানোর কাজ কিছুটা অংশে বন্ধ রাখতে বাধ্য হল বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শিকারপুরে ভারত, বাংলাদেশের সীমান্তে। সেখানে বাসিন্দাদের দাবি, কাঁটাতারের সঙ্গে প্রয়োজন লোহার গেটও। কেন এই লোহার গেটের প্রয়োজন? তাও স্পষ্ট জানাল এলাকাবাসী।
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে নদিয়ার শিকারপুর এলাকা। সেখানে বিডিও অফিসের পাশে মাথাভঙ্গা নদীর পাড় ধরে প্রায় ১.৩ কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতারের বেড়াই ছিল না বলে খবর। এই ইস্যুতে জমি অধিগ্রহণ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিজিবির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করতে থাকে বিএসএফ। দীর্ঘ আলোচনার পর, মাস ৬ আগে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল লোহার অ্যাঙ্গেল ও পলার বসানোর কাজ। তবে এই কাজ শিকারপুরের কুটিপাড়া এলাকায় চলতেই বিক্ষোভের মুখে পড়ল বিএসএফ। শনিবার সকাল থেকে ওঅ এলাকার মুরটি থানার অন্তর্গত কুটিপাড়া গ্রামে চলছিল কাজ। কাজ চলাকালীন শুরু হয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। স্থানীয়দের দাবি, কাঁটাতারের সঙ্গে বসাতে হবে লোহার গেটও। কেন লোহার গেট চাইছেন গ্রামবাসীরা? তারও উত্তর এল। এলাকাবাসীর দাবি, অদূরে রয়েছে মাথাভাঙা নদী। তার তীরে রয়েছে শ্মশান। আর সেখানে গেট বসালে, সেগুলি ব্যবহার করতে পারবেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা বলছেন, তাঁরা কাঁটাতারের বিরুদ্ধে নন। তবে সঙ্গে চাই ওই লোহার গেটও। এই বিক্ষোভের সময় এলাকাবাসীদের সঙ্গে ছিলেন শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন রায় ও করিমপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তাপস মণ্ডল। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট জায়গা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলেও বিএসএফ-র প্রতিশ্রুতি ছিল, এলাকার মানুষের সুবিধার্থে গেটও রাখা হবে। কিন্তু শনিবার সেখানের মানুষ লক্ষ্য করেন গেট সেখানে বসছে না। তখনই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিএসএফ জানিয়েছে, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এদিকে, গ্রামবাসীরা বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন। বিএসএফ জানিয়েছে, বিতর্কিত অংশ ছেড়ে বাকি অংশে আপাতত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ করা হবে ওই এলাকায়।