মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জমিনের মামলায় তাঁর পক্ষের আইনজীবী একাধিক ইস্যুতে সওয়াল করেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতেরর ৫ আধিকারিক প্রভাবশালী, রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের যে দাবি, তার পক্ষে সিবিআইয়ের কাছে কি প্রমাণ আছে?
এদিন এই জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে। সেখানেই এই প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, প্রমাণ কিছুই নেই। এতদিনেও এসব প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই। তাহলে কেন আটকে রাখা হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে? প্রশ্ন পার্থপক্ষের আইনজীবীর। উল্লেখ্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকদের হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন মিলন মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এসএসসি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, মাণিক ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অনেকেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এখনও জেল থেকে মুক্তি পাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বহুবার জামিনের আবেদন করা হলেও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করা হয়েছে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী বলেন,'অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী। তাও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো এখন পার্টির সদস্যও নন, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।' এই বক্তব্য শুনতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা, এই গোটা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা বোঝাতে তাঁকে ‘কিং মেকার’ বলে আখ্যা দেন।
এর আগে, জামিন পেতে মরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম করে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অর্পিতা জামিন পেলে আমি পাব না কেন?’ সেবার শুনতে হয়েছিল বিচারপতির ভর্ৎসনা। সেবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলা ছাড়তেও তিনি রাজি। পার্থর কথা শুনে আদালত সেবার বলেছিল, ‘আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সবাই নন। ফলে আপনার দফতরে কী হচ্ছে, তার দায় আপনার উপর বর্তায়।’