হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের জামিনের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৭ তারিখ রাতেই তাঁদের ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। এর পরের দিন এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকলেও এই তিন হেভিওয়েট রয়েছেন হাসপাতালে। এবার এই নেতাদের অসুস্থতা খতিয়ে দেখতে নিজেশ্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল সিবিআই।
হাসপাতালের দেওয়া রিপোর্ট কতটা সঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সিবিআই-এর মনে। ঠিক কোন রোগের ভিত্তিতে এই তিন হেভিওয়েটকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল, তাও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। আর এই কারণেই এবার তিন নেতার শারীরিক অবস্থা নির্ণয়ের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর এই মেডিক্যাল বোর্ডে থাকতে পারেন এইমসের পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসক। সূত্রের খবর, আজকে হাইকোর্টের শুনানির পরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রুটিন চেক আপ-এর মধ্যে রাখা হয়েছে। মদন মিত্রকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনের অক্সিজেন লেভেল সাংঘাতিকভাবে কমে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, মদন মিত্র কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিকে ফিরহাদ হাকিমেরও শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বর্তমানে তাঁর জ্বর না থাকলেও পেটে ব্যথা রয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পরীক্ষার পর রাতেই ফের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরেরদিন তাঁকে ফের এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হলে তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডেই ভর্তি করা হয়। এরপর ইসিজি করানো হয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁকে দেখছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ এবং হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সরোজ মণ্ডল।