রবিবার সকালে তখন গোটা রাজ্য জুড়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে। মিডিয়ায় একের পর এক চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে সিবিআই হানার খবর। সকালবেলা সিবিআই টিম সন্দীপ ঘোষের বাড়ি পৌঁছে যায়। সেই খবরের পর পরই জানা গিয়েছিল, সেদিন মোট ১৫ জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার টিম। এরই মাঝে হাওড়ার বাসিন্দা মদন ঘোড়ুইয়ের বাড়ি পৌঁছয় সিবিআই টিম, কড়া নাড়েন টিমের সদস্যরা। এরপর যা ঘটল..
দরজা খুলতেই হতবাক হাওড়ার বাসিন্দা মদন ঘোড়ুই। দরজার ওপারে তখন সিবিআইয়ের টিম। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বেশ কিছুটা থতমত হয়ে যান মদন ঘোড়ুই। স্বভাবতই তিনি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। রবিবারের সকালে দোরগোড়ায় সিবিআই টিম দেখে তিনি বেশ হতচকিত হন। এরপর সিবিআই আধিকারিকরা জানান, তাঁরা আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে এসেছেন। শুনে বেশ কিছুটা হতভম্ব হয়ে যান মদন ঘোড়ুই। কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। এরপর সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর থেকে কিছু নথি দেখতে চান। তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত নথি দেখেন সিবিআইয়ের টিমের সদস্যরা। তখনই ধরা পড়ে নামের ‘ভ্রান্তিবিলাস’। দেখা যায়, সিবিআই খুঁজছে ' তারা মা ট্রেডার্স' এর মালিককে, আর টিমের সদস্যরা ততক্ষণে চলে এসেছেন, ‘তারা মা বিল্ডার্স’ এর মালিকের বাড়িতে। সিবিআই জানতে পরে মদন ঘোড়ুই ‘তারা মা বিল্ডার্স’ এর মালিক। মদন ঘোড়ুইয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, তিনি ওষুধ বা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও চেনেন না। ততক্ষণে ভুল বুঝতে পারেন সিবিআই টিমের সদস্যরা। এরপর মদন ঘোড়ুইয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে টিম রওনা দেয় তাঁদের গন্তব্যে।
প্রসঙ্গত, সেই সময় সিবিআইয়ের টিম খুঁজতে বেরিয়েছিল বিপ্লব সিংহকে। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। তাঁরই সংস্থা, ‘তারা মা ট্রেডার্স’। পরে সিবিআই টিম পৌঁছে যায় বিপ্লবের বাড়িতে। এদিকে, মদন ঘোড়ুইয়ের ছেলে বিপ্লব ঘোড়ুই জানান, ‘তারা মা ট্রেডার্স আর তারা মা বিল্ডার্স, এই দুই নাম নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই এসে গিয়েছিলেন এখানে। তাঁরা ব্যবসায়িক নথি পত্র দেখেনষ পরে বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁরা।’