নদীতে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। দ্বারকেশ্বর নদে তলিয়ে গেল বছর সাতেকের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের আঢ্য পাড়ায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে শিশুর পরিবারে। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করেও বাঁচাতে পারেননি। তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ প্রতিবেশী এক দিদির সঙ্গে দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমেছিল ওই শিশু। তখনই ঘটে বিপত্তি। সাঁতার জানত না সে। নদে নামার পর আর তাকে জলে ভাসতে দেখা যায়নি। তার দিদি উপরে উঠে আসলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দ্রুত গোটা পাড়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। শিশুর বাড়িতে খবর দেয় তার দিদি। তখন স্থানীয়রা তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য নদে নেমে পড়েন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা শিশুটিকে খুঁজে পায়। কিন্তু, কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। তখন স্থানীয়রা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই শিশুর বাবা সুকুমার রায় এবং মা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান।
উল্লেখ্য, গরম পড়তেই এবার জলে ডুবে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নদীর পাশাপাশি পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুর। কিছুদিন আগেই ভাগীরথীকে চার বন্ধু মিলে স্নান করতে নেমেছিল। তারা কেউই সাঁতার জানত না। সেই সময় দুই বন্ধু জলে ডুবে যায়। তারা দুজন ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। আবার হুগলিতেও নদীতে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয়েছিল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।