এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রশ্ন বিভ্রাট ঘিরে তুঙ্গে হইচই। শুধু প্রশ্ন বিভ্রাট কাণ্ডই নয়, বিষয়টি প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার ছিল স্নাতোকোত্তরে ‘কম্পারেটিভ লিটারেচার’র দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র খুলে একটি পাতায় ‘কম্পারেটিভ লিটারেচার’র প্রশ্ন দেখতে পেলেও, পরে সেই পাতা ওল্টাতেই সেখানে ফিল্ম স্টাডিজের প্রশ্ন দেখতে পান। দেখা যায়, প্রশ্নপত্রে কম্পারেটিভ লিটারেচারের প্রশ্নের উল্টো পাতায় রয়েছে ফিল্ম স্টাডিজ মাইনরের পরীক্ষার প্রশ্ন। হতবাক পরীক্ষার্থীরা একথা শিক্ষকদের জানাতেই শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে, কম্পারেটিভ লিটারেচারের প্রশ্নপত্রে ফিল্ম স্টাডিজ মাইনরের প্রশ্ন ছেপে আসায়, ফিল্ম স্টাডিজের সেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ফিল্ম স্টাডিজের সেই প্রশ্ন বাতিল করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে পরীক্ষার নিয়ামক সাত্যকি ভট্টাচার্য প্রশ্নের এই ছাপা সংক্রান্ত গোলযোগ নিয়ে ছাপাখানার বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন। তিনি বলছেন, ওই প্রেসে চলতি সেমেস্টারে আর্টসের আর কোনও প্রশ্নপত্র ছাপতে দেওয়া হবে না। তিনি ‘আনন্দবাজার’কে বলেন, 'এখন সব প্রশ্নপত্র কন্ট্রোলার বিভাগের তরফে আগে দেখে তবে পরীক্ষার হলে পাঠানো হচ্ছে।' এদিকে, ফিল্ম স্টাডিজের নতুন প্রশ্ন সেই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে তৈরি করার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে, এই প্রশ্ন বিভ্রাটের জেরে পরীক্ষার দিনক্ষণে কোনও বদল আসবে না। ফলে ফিল্ম স্টাডিজের ওই পরীক্ষাটি নির্দিষ্ট দিনেই হবে। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ঘিরে বিভ্রাটের ছায়া যেন পিছু ছাড়ছে না। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগে একটি পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন কম আসায় পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হয়। শেষে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে এনে পরীক্ষা আয়োজিত হয় বলে খবর।
এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আরও একটি খবর আলোচনার কেন্দ্রে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগের প্রাক্তনীরা তাঁদের তহবিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দেন। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেন ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগের ১৯৭৫ সালের ব্যাচের সদস্যরা। ক্যাম্পাসের ভিতর ড. ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।