ভোট বাংলায় নিঃসন্দেহে বড় ইস্যু কোভিড পরিস্থিতি। করোনা উদ্বেগের সঙ্গেই বাড়ছে টিকা পেতে বাসিন্দাদের হয়রানি।এসবের মধ্যেই যাবতীয় বিতর্ককে আরও উসকে দিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরাসরি তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন'উনি ভ্যাকসিন কিনে দেননি কেন?' আর এদিনই কোভিড ও ভ্যাকসিন পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কার্যত সেই প্রসঙ্গে নিজের জবাব দিয়ে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের ভ্যাকসিন পলিসির সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এদিনের চিঠিতে তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, 'গত ২৪শে ফেব্রুয়ারির পাঠানো আমার চিঠি আপনি মনে করে দেখতে পারেন, যেখানে আমি রাজ্যের তরফে সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি চেয়ে আপনার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম। রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু আপনার তরফে কোনও উত্তর পাইনি।'
এদিনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অনেকটা দেরিতে ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিন পলিসি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার যেটা অন্তঃসারশূণ্য, দিশাহীন বলেই মনে হচ্ছে। এরপরই তিনি ২৪শে ফেব্রুয়ারির চিঠির কথা উল্লেখ করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ’যখন করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তখনই টিকা নিয়ে কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। সংকটের সময় দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। কেন্দ্রের ঘোষণায় টিকার মান, যোগানের ধারাবাহিকতা, কত দামে রাজ্য সেগুলি কিনবে সেব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।' টিকা নিয়ে খোলাবাজারে অনিয়ম হতে পারে বলে চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপর যাতে অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপানো না হয় সেব্যাপারেও অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি চিঠিতে বলা হয়েছে প্রয়োজনীর টিকার অভাব রয়েছে এবং টিকার যোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে। একটা বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি করার ব্যাপারেও প্রধামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।