অভিযোগ, সরকার মুখ তুলে তাকায়নি এতদিন। দেখেও যেন না দেখার ভান করছিলেন অনেকেই। এবার এনিয়ে হইচই পড়তেই কোচবিহারের পারাডুবি অঞ্চলের বড়াইতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট্ট ঝিলিকের পাশে দাঁড়়ালেন দুই প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। ঝিলিকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসার সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন দুই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁদের আশ্বাস শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে পরিবারটি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ঝিলিক ছোটবেলা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। এই পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।
একেবারে অসহায় একটি পরিবার। ছোটবেলা থেকেই মানসিক সমস্য়ায় ভুগছে ওই পরিবারের মেয়ে ঝিলিক। ভালো জায়গায় চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই পরিবারের। এদিকে বাড়িতেও তাকে নিয়ে অস্থির পরিজনরা। কার্যত বাধ্য হয়েই প্রায় চারফুট বাই তিনফুটের খাঁচায় ঝিলিককে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তার অভিভাবকরা। সেখানেই বড় হচ্ছে ঝিলিক। কার্যত বন্দি অবস্থায়। সম্প্রতি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচার হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেন অনেকেই। তাঁর বাড়িতে ছুটে গিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী। ঝিলিকের মায়ের দাবি, ছেড়ে দিলে মেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। অনেক ব্যাথা মনে চেপে খাঁচায় ভরে দিয়েছেন মেয়েকে। ঝিলিকের বাবা শ্য়ামল বর্মন দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। তাঁর পক্ষে মেয়ের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা কার্যত অসম্ভব। তবে সরকারি সহায়তা পেলে ঝিলিকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে রাজি তার বাবা মা।
ট
ট