ডায়মন্ড হারবারে বিচারকদের আবাসনের বাইরে রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীদের আনাগোনার অভিযোগ ওঠে। ঘটনা ঘিরে আশঙ্কা প্রকাশ করে সদ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজকে চিঠি দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার মহকুমা আদালতের এসিজেএম সহ তিনজন বিচারক। ঘটনার পরই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ জনকে। ধৃতের নাম হিরন্ময় গায়েন। প্রশ্ন উঠছে, কেন তিনি বিচারকদের আবাসনে সেই রাতে গিয়েছিলেন?
ধৃত হিরন্ময়কে প্রশ্ন করতেই তাঁর দাবি, ‘সেদিন ওখানে ভেলা ভাসানো ছিল। ভেলা ভাসানোর দিনে সেখানে একটু নেশা করে ফেলেছিলাম, শুধু নিচে নেমে একটু উঠেছি।’ এরই সঙ্গে তাঁর সাফই,'আর কিছু জানিনা আমি, পুলিশ আমাকে ধরে এনেছে,আমি শুধু নেমেছি, জাস্ট নেমে উঠে এসেছি। নেশা করেছিলাম, বুঝতে পারিনি ওটা আবাসন।' এর আগে, মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবারে বিচারকের আবাসনে দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। এদিকে, একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিকে, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কালো কাপড় বেঁধে এক দুষ্কৃতীকে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে। ইলেকট্রিক লাইন কাটা ও জলের লাইন কাটা ঘিরে যে অভিযোগ রয়েছে তার, পুরো বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তর ও অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা, বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডের আবহে গোটা বাংলা গর্জে উঠছে। তার মধ্যে ডায়মন্ডবারবারে দুষ্কৃতী তাণ্ডব আরও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরছে। খোদ রাজ্যের বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়েই এই ঘটনায় সওয়াল উঠেছে। এদিকে, বহু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ডায়মন্ডহারবারের কাণ্ডে পৈলান পুলিশ হেডকোয়াটার্সের কিছু পুলিশ কর্মীর নাম জড়িয়েছে। তথ্য বলছে, বিচারকরা চিঠিতে লিখেছেন শিশুদের যৌন হেনস্থার পকসো মামলায় একটি নির্দেশ দেওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাতের বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।