একদিকে ডায়মন্ড মডেলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আরও কাউকে নেতা হিসাবে মানতে চান না শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুর্শিদাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, সার্কাস পার্টির জোকারদের দেখতে পাচ্ছি আমরা। কেউ সেজে আসছে রাজার মতো। কেউ ভোলা ময়রার মতো। একদিকে দেখছি এই বড় ভুড়ি নিয়ে বসে ভোলা ময়রা। রাজা বসে সোনার চেন লাগিয়ে। যে যার মতো বাতেলা দিচ্ছে।
এরপরই অধীরের প্রশ্ন, দিদি কেন চুপ? দিদি কেন কিছু বলছে না। দিদি একটা ধমক দিলেই তো ভাইয়েরা সব চুপ হয়ে যায়। আসলে দিদির ভাইপোর বিরুদ্ধে বলার মতো হিম্মত নেই। তাই দিদি ভাইপোর বিরুদ্ধে কিছু বলেন না। হাজার দোষ করলেও সে সন্তানের মতো। সেই সুযোগ নিয়ে চারদিকে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিদির সারাবছরের যিনি নায়েব আছেন তিনি চলে আসছেন শৃঙ্খলা শেখাতে। গোটা দলটাই তো বিশৃঙ্খলার উপর দাঁড়িয়ে আছে। সবই তো ধান্দাবাজ। করে খেতে এসেছে।তৃণমূলে শৃঙ্খলা এলে গোটা দলটাই হাওয়া হয়ে উড়ে যাবে। নতুন বছরে সার্কাস দেখুন। কটাক্ষ অধীরের।
অন্যদিকে অধীরের কটাক্ষ, দিদি বাংলায় বলছেন মহিলাদের ৫০০ দেব। আর গোয়ায় বলছেন ৫ হাজার দেব। তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল গোয়াতে ৫ হাজার কেন? গোয়ার মহিলারা ইংরাজি বলতে পারেন বলে ৫ হাজার।