জঙ্গলমহলে বাঘ আতঙ্কের মধ্যেই এবার বাঘের দাখা পেয়েছেন বলে দাবি করলেন ২ স্থানীয় বাসিন্দা। ওদিকে লালগড়ের বিনপুরে নতুন করে মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। যাবতীয় তথ্য প্রমাণ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, একটি স্ত্রী বাঘ ও একটি শাবক থাকার তত্ত্ব।
রবীন্দ্রনাথ পরমানিক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি কেরছেন, রবিবার একটি বাঘের শাবক দেখেছেন তিনি। পতিত কর্মকার নামে একের ব্যক্তির দাবি, কাঠ কুড়াতে জঙ্গলে গিয়ে একটি পূর্ণবয়ষ্ক বাঘের দেখা পেয়েছেন তিনি। তবে সেখবর সত্যতা স্বীকার করেনি বনদফতর।
তবে ডিএফও (সেন্ট্রাল সার্কল) রাজীব শর্মা জানিয়েছেন, বারিকুলে চাষের জমিতে যে পায়ের ছাপ মিলেছে তা বাঘেরই।
গত শুক্রবার বাঁকুড়ার বারিকুলে প্রথম মেলে পায়ের ছাপ। এর পরই ছড়ায় আতঙ্ক। সোমবার সেখানে পৌঁছন সুন্দরবনের বাঘ বিশেষজ্ঞরা। পৌঁছয় খাঁচা। এরই মধ্যে পায়ের ছাপ মেলে বিনপুরে। খাঁচা পাতা হয় সেখানেও। সেই জায়গা থেকে ৫০০ মিটার দূরে এদিন মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ।
বারিকুল ও বিনপুরে মেলা পায়ের ছাপ একই বাঘের কি না তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রাথমিক তদন্তের বিশেষজ্ঞদের দাবি, একটি স্ত্রী বাঘের সঙ্গে রয়েছে একটি শাবক। বাঘের গতিবিধি জানতে জঙ্গলমহল জুড়ে লাগানো হচ্ছে ১০টি ট্রাপ ক্যামেরা। তার সামনে দিয়ে কোনও প্রাণী গেলেই উঠবে তার ছবি।
অনেকের দাবি, ২০১৮ সালে লালগড়ে যে বাঘটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল স্ত্রী বাঘটি তারই সঙ্গী। তবে এতদিন তার দেখা মেলেনি কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকে জানাচ্ছেন ওড়িশার জঙ্গল থেকে জঙ্গলমহলে ঢুকতে পারে বাঘ।
ওদিকে বাঘের আতঙ্কে জবুথবু। গোটা জঙ্গলমহল। সন্ধের আগে বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন সবাই। এখনো বাঘের হামলায় কোনও মানুষ বা গবাদী পশুর হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।