প্রথম ইনিংসের মতো তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসও যে সহজ হবে না তা বৃহস্পতিবার সকালেই টের পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পদে স্বাগত জানানোর জন্য যখন দলের কার্যালয় সাজানো হচ্ছে তখনই এল রাজ্যের ২ জেলায় বিজেপি পার্টি অফিস পোড়ানোর খবর। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ায় ২টি বিজেপি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ২ জায়গাতেই অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।
বুধবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির ঘোষপাড়ায় বিজেপি অফিসের একাংশ আগুনে পুড়ে যায়। জ্বলন্ত পার্টি অফিসের ভিতর থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন এক বিজেপি কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল তাদের পার্টি অফিসে আগুন দিয়েছে। অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।
ওদিকে বুধবার রাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার চান্দাই গ্রামে ধুন্ধুমার বাঁধে। সেখানে একটি মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির নির্বাচন নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ছিল। বুধবার রাতে বোমা মারতে মারতে এসে গ্রামের বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এখানেও অভিযুক্ত তৃণমূল। পালটা তৃণমূলের দাবি, পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝে নিজেদের পার্টি অফিস নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
গত ৪ বছরে রাজ্যে বিজেপি যত শক্তিশালী হয়েছে ততই বেড়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে দিলীপবাবু পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, ৯৬ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। বেশ কিছু কর্মী চলচ্ছক্তিহীন। ২০০০ কর্মী জেলবন্দি। ৩০০০ কর্মী ঘরছাড়া। তার পর কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে বারবার ভোকাল টনিক দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে আরও শক্ত চ্যালেঞ্জ পার করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।