কলকাতা মহানগরী থেকে জলপাইগুড়ি, করোনাকে ঘিরে সেই একই ভোগান্তির ছবি জেলায় জেলায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি ঘোষণাই সার। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও চিকিৎসা মিলছে না যথাযথ। এরপর মৃত্যু হলেও সেই মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে আসছে না সরকারি লোকজন। অভিযোগ এমনটাই। সেই হয়রানির ছবি এবার উঠে এসেছে জলপাইগুড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী সন্ধ্যা রায় সম্প্রতি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি জলপাইগুড়ির ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোমবার দিনভর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর জন্য একটি বেডও মেলেনি। এরপর কার্যত বাড়িতেই চিকিৎসা হচ্ছিল তাঁর। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে কোনও সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাত দেড়টার সময় মৃত্য়ু হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন মহলের কাছে ফোনে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোথাও সহায়তা মেলেনি। এরপর কোভিড হাসপাতালেও ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও যথাযথ সহায়তা মেলেনি। রাতভর দেহ আগলে বসে থাকে পরিবার।
এরপর মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ একেবারে দেহ নিয়ে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের সামনে হাজির হন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের সামনেই কার্যত ধরনায় বসে পড়েন পরিবারের সদস্য়রা। এই ছবি দেখে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কার্যত বাধ্য হয়েই দেহ সৎকারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গোটা ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে স্বাস্থ্যদফতর।
তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনার টিকা পেতেও রাত জেগে লাইন দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবুও টিকা মিলছে না। সেখানেও উঠছে নানা অব্যবস্থার অভিযোগ। এর ওপর করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও নানা গাফিলতির অভিযোগ। এর সঙ্গেই মৃত্যু হলে দেহ আগলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারকে। আমজনতার একটাই প্রশ্ন কবে মুক্তি মিলবে এই যন্ত্রণা থেকে?
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে
করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও