কুঁদঘাট থেকে হুগলি, টিকার লাইনে হয়রানির ছবিটা বদলাচ্ছে না কিছুতেই। মঙ্গলবার একটি ভ্যাকসিনের আশায় হুগলির পান্ডুয়া হাসপাতালের টিকাকরণ ঘরের সামনে সকাল থেকে লাইন দিয়েছিলেন বিনয়ভূষণ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। ৮৫ বছরের মানুষটি বৃদ্ধ বয়সেও দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন টিকার লাইনে। কিন্তু শরীর মানল না শেষ পর্যন্ত। লাইনেই মাথা ঘুরে যায় তাঁর। এরপর মাটিতে পড়ে যান তিনি। অন্যান্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ঘরে নিয়ে যান। কিছুটা ধাতস্থ হন তিনি। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে কেন এভাবে হয়রানির মুখে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে?
বাসিন্দাদের দাবি ওই বৃদ্ধের বাড়ি বৈঁচিতে। ভ্যাকসিনের আশাতেই তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ লাইনে দাঁঁড়িয়ে থাকার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রতিদিন ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এখানে। তার মধ্যে ২৫০জনকে দ্বিতীয় ও ৫০জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য রোজই প্রচুর মানুষ আসছেন। টিকাকরণের ঘরের সামনে ছাউনি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রচন্ড গরমে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
তবে বাসিন্দাদের দাবি একে তো করোনার আতঙ্ককে ঘিরে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিষেধক নিতে চাইছেন অনেকেই। কিন্তু সেই টিকা পেতেও চূড়ান্ত হয়রানির অভিযোগ। টিকার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। টিকার লাইনের সেই ভিড় থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। সব মিলিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।