আচমকাই সাত সকালে বড় বড় ঢেউ দিঘার সমুদ্রে। প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এরপর ঢেউয়ের প্রাবল্য বাড়তে থাকে ক্রমশ। দ্রুত সৈকতের ধার বরাবর ব্যারিকেড করে দেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতেও নিষেধ করেন তাঁরা। কিন্তু কী কারণে আচমকা এই ঢেউ? সিভিল ডিফেন্স কর্মী নিলাদ্রী শেখর পাত্র বলেন, 'যেভাবে বর্যাকালে বড় ঢেউ দেখা যায় তেমন ঢেউ দেখা গিয়েছে এদিন। আমরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ব্যারিকেড করে পর্যটকদের সৈকতে নামতে বাধা দিয়েছি আমরা। পরে জানতে পারি অন্যত্র ভূমিকম্প হয়েছিল। সেকারণেই আচমকা বড় ঢেউ দেখা দিয়েছে দিঘার সমুদ্রে।' অপর এক সিভিল ডিফেন্স কর্মী বলেন, 'সচরাচর এত বড় ঢেউ দেখা যায় না দিঘার সমুদ্রে। এদিন অন্য জায়গায় ভূমিকম্পের জেরেই এই ঢেউ দেখা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।' তবে প্রকৃত কারণ কী তা নিয়ে অবশ্য ধন্ধ থেকেই গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে দিঘা কার্যত পর্যটকশূণ্য। তবে এসবের মধ্যে সমুদ্রের এই পরিবর্তনকে ঘিরে নানা চর্চা হচ্ছে এলাকায়। অনেকের মতে এদিন সকালে অসমের শোনিতপুরে ভূমিকম্প হয়। তার প্রভাব উত্তরের একাধিক জেলায় পড়ে। তবে কী তারই পরিণতিতে প্রবল ঢেউ দিঘার সমুদ্রে?