সংসদের অধিবেশন চললেও দিল্লিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই রবিবার উদয় হলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আর দেখা গেল তো একেবারে বামেদের মঞ্চে বিমান বসুর পাশে। প্রয়াত সিপিএম নেতা নির্মল জানার স্মরণসভায় পাশাপাশি দেখা গেল একদা যুযুধান ২ নেতাকে।
গত ১৭ এপ্রিল তমলুক জেলা হাসপাতালে প্রয়াত হন প্রবীণ সিপিএম নেতা নির্মল জানা। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৫ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার তমলুকে ছিল তাঁর স্মরণসভা। হাজির ছিলেন বিমান বসু-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের বহু সিপিএম নেতা। বৃষ্টি মাথায় করে সেখানেই হাজির হন দিব্যেন্দুবাবু।
কিন্তু বামেদের মঞ্চে কেন? প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, ‘নির্মলবাবু জেলার শ্রদ্ধেয় নেতা ছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। এটাই সৌজন্য। যেটা বর্তমানে বাংলা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।’
গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের অন্যান্যদের মতো দিব্যেন্দুর সঙ্গেও তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। মাঝে দিব্যেন্দুকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরও বরফ গলেনি। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি যাননি তিনি। বরং বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।