তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের মদতে রূপশ্রী প্রকল্পে দেদার বেনিয়মের অভিযোগ নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। অভিযোগ, বিবাহিত, এমনকী সন্তানের জননীরাও আবেদন করছেন এই প্রকল্পের অধীনে। আবেদনের নথি যাচাই করতে গিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি আবেদন যাচাই করে তবেই দেওয়া হবে টাকা।
সম্প্রতি রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন খতিয়ে দেখতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। দেখা যায় বহু আবেদনকারীর বেশ কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কারও আবার সন্তানও রয়েছে। এরকম ১০ জন আবেদনকারীকে শো-কজ করেছে জেলা প্রশাসন। কেন তাঁরা ভুয়ো নথি দিয়ে আবেদন করেছেন তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম আয়ের পরিবারের মেয়েদের প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা এককালীন পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের সাহায্যে আয়ের ভুয়ো নথি বানিয়ে আবেদন করছেন অবস্থাপন্ন পরিবারের মেয়েরাও। যার বিনিময়ে মোটা কাটমানি দিতে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
ভুয়ো নথি দিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনে অভিযুক্ত রূকসানা খাতুন নামে এক বধূ জনান, এলাকায় সবাই আবেদন করছে। তাই আমিও করেছি।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলের কিছু নেতা কাটমানির জন্য মানুষকে দুর্নীতিতে প্ররোচিত করছে। তবে এটা ঠিক যে আবেদনকারীদের অনেকে খুব গরিব।’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকে গয়না কিনতে বা ধার মেটাতে রূপশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে আবেদন করছেন। অনেকে বেড়াতে যাওয়া বা অন্য সখ মেটাতেও টাকার অপেক্ষায় রয়েছেন। বিডিও অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রূপশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদনের বান চলছে। তাই প্রতিটি আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখে টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে।