ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনও সরগরম সিতাই। গুরুতর জখম হন এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তৃণমূলের লোকেরা ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, সিতাই বিধানসভা এলাকার পেটলা অঞ্চলের বিজেপি কর্মী সুকুমার দাসের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুকুমারের বাড়িতে লাঠি, দাঁ, বল্লম নিয়ে হামলা চালানো হয়। সুকুমারকে তৃণমূলের স্থানীয় পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে সেই সময় সুকুমার ও তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীদের ধস্তাধ্বস্তি হয়। তখন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুকুমারের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে সুকুমারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার পর দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সুকুমারকে প্রথমে সিতাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কোচবিহার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বিজেপির তরফে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ প্রশাসন এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। তাতেও কাজ না হলে থানা ঘেরাও ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। প্রতিদিনই কোচবিহার জেলায় এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনায় জখম বিজেপি কর্মী জানান, ‘আমার অপরাধ আমি বিজেপি করি। ভোটে পরে আমার বাড়ি ঘর ভেঙেছে। আমি মানবাধিকার কমিশনের কাছে হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তবে কারোর নামে নয়। যারা আমার বাড়িতে এসেছিল, তাঁরা বলছিল, আমি নাকি কেস করেছি। কিন্তু আমি কারোর নামে কেস করিনি। ওরা আমাকে পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করলে ধস্তাধ্বস্তি শুরু হয়।’