স্বামীর মৃত্যুর পর ২ সন্তানকে মানুষ করতে নিজেই নেমেছিলেন লড়াইয়ে। কাজ নিয়েছিলেন প্লাইউড কারখানায়। সেখান থেকে ফেরার পথেই নিখোঁজ হলেন যুবতী। সকালে পাওয়া গেল তাঁর মৃতদেহ। দেহের পাশে উদ্ধার হয়েছে বিষের বোতল। যদিও পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব শংকরপুরের বাসিন্দা তরুণীর স্বামী ২ বছর আগে মারা যান। তার পর ২ সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। কাজ নেন স্থানীয় একটি প্লাইউড কারখানায়। রোজ একটি সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতেন তিনি। ফিরে আসতেন সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত গড়ালেও না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সকালে পাশের গ্রামে খড়ের গাদার ওপর পাওয়া যায় তার দেহ। পাশে উদ্ধার হয় একটি সাইকেল ও বিষের বোতল।
পরিবারের দাবি, যুবতী আত্মঘাতী হননি। ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করেছে কেউ বা কারা। দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মহিলা কী করে ওই জায়গায় এলেন। বিষের বোতলই বা পেলেন কোথা থেকে জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সঙ্গে জানার চেষ্টা চলছে, তিনি নিজে বিষ খেয়েছেন না কি তাঁকে জোর করে কেউ বিষ খাইয়ে দিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।