মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছিলেন মৎসজীবী। কিন্তু মাছ উঠে এল না। উঠে এল আস্ত একটা কুমীর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রামের কাটাখালি খালে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছিলেন মৎসজীবী বিশ্বজিৎ ধাপড়। হঠাৎ করে তাঁর মনে হয়, জালে ভারী কিছু ধরা পড়েছে। জাল তুলতেই তিনি দেখতে পান, মাছ নয়, জালে আস্ত একটি কুমীর ধরা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার অন্যান্য মৎসজীবীরাও ছুটে আসেন। কুমীরটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেন মৎসজীবীরা। হলদি বা হুগলি নদীর স্রোতে কুমীর থাকার কথা নয়। কিন্তু নদীপথে কীভাবে কুমীর এসে পৌঁছোল, তা নিয়ে যথেষ্টই হতবাক বন দফতরের আধিকারিকরা।
প্রাথমিকভাবে বন দফতরের আধিকারিকদের মনে হচ্ছে, ইয়াস ঝড়ের সময় সুন্দরবনের কুমীর প্রকল্পের অনেকগুলি কুমীর ছানা ভেসে গিয়েছিল। সেই সব ভেসে যাওয়া কুমীর ছানার মধ্যে একটি হল এই কুমীর। তবে জীবন বাজি রেখে যেভাবে কুমীরটিকে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে প্রত্যেকেই কাছেই বিশ্বজিৎ প্রশংসা কুড়িয়েছে।