রাজ্যসভায় হাঙ্গামার জন্য আট সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তা নিয়ে 'স্বৈরাচারী' বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার একটি টুইটবার্তায় মমতা বলেন, 'কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা আটজন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং স্বৈরাচারী সরকারের মানসিকতাকে তুলে ধরছে। যারা গণতান্ত্রিক নিয়ম ও নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করব না এবং সংসদ ও রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব।'
রবিবার রাজ্যসভায় দুটি কৃষি বিল পেশের সময় প্রাথমিকভাবে হই-হট্টগোল হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্ণে ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের (দুপুর একটা) পরও অধিবেশন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানান বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ জানান, সব দলের মত ছাড়া সেই অধিবেশনের সময় বাড়ানো যাবে না। তবে অধিবেশন চলতে থাকে। তা নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে হাঙ্গামা শুরু হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকে রুলবুক দেখান ডেরেক। প্রতিবাদের সময় চেয়ারম্যানের ডেস্কের মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলেন কয়েকজন সাংসদ। ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে দেওয়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন : রবিবার রাজ্যসভায় কী হয়েছিল?
তারপর সোমবার সকালে সরকারপক্ষের তরফে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যাঁরা রবিবার রাজ্যসভার হাঙ্গমায় যুক্ত ছিলেন। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। তারপর ওই আট সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁরা হলেন - তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ও দোলা সেন, আপের সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজু সাতাব, সইদ নাজির হুসেন ও রিপুন বোরা এবং সিপিআইএমের কে কে রাগেশ ও ইলামারান করিম।
রবিবারের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কয়েকজন সাংসদ ‘টেবিলের উপর নাচছিলেন’ মন্তব্য করে নাইডু বলেন, 'গতকাল রাজ্যসভার জন্য একটা বাজে দিন ছিল। কয়েকজন সদস্য ওয়েলে চলে আসেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে শারীরিক নিগ্রহের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়।' তাঁর বক্তব্যের সময়ও ডেরেক-সহ বিরোধী সাংসদরা সরব হয়েছিলেন। ডেরেকের নাম নিয়ে তৃণমূল সাংসদকে কক্ষ ছেড়ে যেতে বলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।