'জেল থেকে বেরোলেই গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট'। বাংলায় এবার 'উত্তরপ্রদেশ মডেল' আমদানি করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সেই কাজের জন্য তালিকা তৈরি রাখাও হয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি।
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরে তপনের পতিরামে জনসভা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই মঞ্চ থেকে সায়ন্তন দাবি করেন, শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা। তারপরই হুমকি দিয়ে সায়ন্তন বলেন, 'ভরা সভায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হাজার হাজার মানুষের সামনে কথা দিয়ে যাচ্ছি, যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, ওই শওকত মোল্লাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।ওই শওকত মোল্লাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।'
সেই 'কাজ'-এর জন্য যে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের 'মডেল' অনুসরণ করা হবে, তা জানাতেও কোনও দ্বিধাবোধ করেননি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বরং বলেন, 'উত্তরপ্রদেশে যেমন এই ধরনের মোল্লা-টোল্লাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কেন যায় না, জানেন? কারণ ওখানে জেল থেকেই বেরোলেই গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়। লিস্ট তৈরি করছি, কাদের কাদের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হবে, বীরভূমে একজন আছে, তাঁর গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট হবে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু'চারটে আছে, তাঁদের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হবে, ওই আরাবুল (সম্ভবত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম) না নিরাবুল, কি নাম -এরকম বেশ কয়েকটার অ্যাক্সিডেন্ট হবে, কাউকে ছাড়া হবে না। কাউকে রেয়াত করা হবে না, কাউকে ক্ষমা করব না, এই গ্যারান্টি আপনাদের দিতে চাই।'
সায়ন্তনের সেই মন্তব্যের একসুরে তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম । তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'প্রতিবাদযোগ্য এবং উদ্বেগজনক। এদের মানসিকতা বোঝা যাচ্ছে।' একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সায়ন্তন যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা 'খুনি', 'সুপারি কিলার'-দের ভাষা। একইসুরে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, বাংলায় 'উত্তরপ্রদেশ মডেল'-এর কোনও প্রয়োজন নেই। বাংলায় নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। তাতে এরকম গাড়ি দুর্ঘটনার প্রয়োজন নেই।