এবার কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অজানা প্রাণীর আতঙ্ক। বিড়াল প্রজাতির প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেটি মেছো বিড়াল। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
সম্প্রতি কানাইপুরের একটি স্টিলের আসবাব তৈরির কারখানায় লাগানো সিসিটিভিতে দেখা যায় প্রাণীটিকে। স্থানীয়ভাবে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়ায়। বিড়ালের মতো দেখতে প্রাণীটির আকার যদিও বিড়ালের থেকে বেশ কিছুটা বড়। গায়ে দেখা যাচ্ছে ছোপ ছোপ দাগ।
স্থানীয়দের দাবি, কয়েকদিন আগে এলাকায় অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। তার পর ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি গরুর দেহাংশ। তা থেকেই বড় কোনও প্রাণী এলাকায় ঘুরছে বলে আশঙ্কা ছিল স্থানীয়দের।
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, অজানা কোনও প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেলেই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সাধারণত এই ধরণের প্রাণী সাধারণত মানুষের থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে। বন জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে ওঠায় এরা মাঝেমাঝে লোকালয়ে এসে পড়ে। তবে কারও ওপর হামলার ঘটনা বিরল।
এক্ষেত্রে প্রাণীটি মেছো বিড়াল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিড়ালের থেকে কিছুটা বড় আকারের এই প্রাণী নিশাচর। এরা জলাশয় থেকে মাছ ধরে খেয়ে থাকে। প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতাই এদের শিকার ধরায় সাফল্যের চাবিকাঠি। কোথাও কোথাও প্রাণীটিকে বাঘরোল বা মেছো বাঘও বলা হয়। বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীর সংখ্যা বিশ্বজুড়ে দিন দিন কমছে।
অজানা প্রাণীর খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে হুগলির বনদফতর। কী করে প্রাণীটিকে ধরা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে তারা।