বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল স্তরে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে সক্রিয় হল বিজেপি। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রতিটি বুথে হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করার নির্দেশ দিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির ভার্চুয়াল কার্যনির্বাহী সভায় নাড্ডা স্পষ্ট করে দেন, বাংলার সব সাংসদ ও নেতাদের তৃণমূল স্তরে পৌঁছাতে হবে। প্রত্যেক পদাধিকারীকে কমপক্ষে পাঁচ-সাতটি মণ্ডলে সফর করার নির্দেশ দেন। ওই সাংসদ ও নেতাদের ‘উৎসাহিত’ করার দায়িত্ব আবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয়েছে। যিনি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করার জন্য নাড্ডার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
নাড্ডা বলেন, ‘এখানে যে পদাধিকারীরা আছেন, দিলীপদাও আছেন। আপনি অনেক সফর করছেন। কিন্তু আপনি সব পদাধিকারী এবং সাংসদের সফরের জন্য উৎসাহিত করুন। সফরে তাঁদের সামিল করে নিন। প্রত্যেককে কোনও না কোনও জেলার দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রত্যেককে কোনও না কোনও মণ্ডলের দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রত্যেক পদাধিকারীকে কমপক্ষে পাঁচ-সাতটি মণ্ডলের সফর করতে হবে। গ্রাম, বুথে শক্তি যাচাই করবেন।’
একইসঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি বুথে হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির কড়া বিধান দেন নাড্ডা। তাতে তিন ধরনের ‘কনটেন্ট’ দেওয়ার নির্দেশ দেন - কেন্দ্র, রাজ্য এবং আঞ্চলিক। কোথায় কোথায় কোন বিষয় তুলে ধরা হবে, সেই ব্যাখ্যাও দেন। নাড্ডা জানান, কেন্দ্রের ‘কনটেন্ট’-এর মধ্যে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুরু করা বিভিন্ন প্রকল্প ও ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়। রাজ্যে যে কাজ হচ্ছে না, তা নিয়েও পৃথক ‘কনটেন্ট’ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কী কী সমস্যা আছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তৃতীয় ‘কনটেন্ট’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
তবে শুধু একবার ‘কনটেন্ট’ তৈরি করলেই হবে না, ১৫ দিন অন্তর নয়া ‘কনটেন্ট’ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নাড্ডা। সেজন্য আবার আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সক্রিয়’ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া ‘খোঁজ' নিতেও বলেন তিনি।
পাশাপাশি যথারীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন নাড্ডা। ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’-র অভিযোগ তুলে তিনি জানান, গত ৫ অগস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তরের স্থাপনের দিন পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল। কিন্তু ৩১ জুলাই বকরি ইদের দিন রাজ্যে লকডাউন ছিল না। (যদিও বকরি ইদ ছিল ১ অগস্ট। তার আগে জুলাইয়ের শেষদিকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বকরি ইদ ও রাখি পূর্ণিমার দিন রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে না। অগস্ট প্রথম সম্পূর্ণ লকডাউন হয় পাঁচ তারিখ) যদিও বকরি ইদ মন্তব্য নিয়ে পরে কিছুটা সামলে নিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘এটা একটা অন্য বিষয় যে ৩১ জুলাই বকরি ইদের দিন লকডাউন ছিল না। কিন্তু এটা তুষ্টিকরণের রাজনীতি।’