খুন নয়, আত্মঘাতী হয়েছেন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে হাতে আসার সেই দাবি করল পুলিশ। তবে এখনও কেমিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসেনি।
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করে বিজেপি। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির।
তারইমধ্যে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিধায়কের ময়নাতদন্ত হয়। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গলার দড়ির ফাঁসেই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
পাশাপাশি তদন্তে নেমে একাধিক তথ্যও হাতে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোহিনীগঞ্জ নামে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক খুলেছিলেন বিধায়ক। বিন্দোল ও কৃষ্ণগঞ্জে দুটি শাখা ছিল। কৃষ্ণগঞ্জের শাখার ম্যানেজার ছিলেন গোপাল হালদার। তাঁর সঙ্গে চালের ব্যবসা খোলার পরিকল্পনা করছিলেন বিধায়ক। তবে গোপাল নিজে ব্যবসায় না নেমে দু'জনের নাম দেন। তাঁদের মধ্যে নিলয় সিং নামে একজনের সঙ্গে চালকল খোলার পরিকল্পনা করেন বিধায়ক। ব্যবসায় ১.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগও করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীদের দাবি, নাবার্ড থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিধায়ক। বাজারে বিপুল দেনাও হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে অবসাদ ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই সম্ভবত বিধায়ক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রের খবর, নিলয়ের ক্ষেত্রে তদন্তের জাল প্রায় গুটিয়ে আনা হয়েছে। রবিবার রাত ন'টার পর নিলয়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলে জানতে পেরেছেন তদন্তাকারীরা। গোপাল এবং অপর একজনের খোঁজ চলছে।