আত্মতুষ্টি নাকি নির্বাচনী কৌশল? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বাঁকুড়ার রাস্তায় পোস্টার পড়েছে ‘দিদিই ফিরছেন’। এই পোস্টার এত আগে পড়ায় এটাকে অনেকে তৃণমূল নেতাদের আত্মতুষ্টি বলে মনে করছেন। আবার একপক্ষ মনে করছেন, এটা বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘সেলফ সার্ভে স্ট্র্যাটেজি’। যা থেকে জল মেপে নেওয়া সহজ হবে।
কিন্তু এই স্ট্র্যাটেজি কেন? জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার দুটি আসনেই পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর বিধানসভা–ভিত্তিক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, জেলার ১২ বিধানসভা আসনেই পিছিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তারই মধ্যে বাঁকুড়ার রাস্তায় পোস্টার পড়েছে ‘দিদিই ফিরছেন’। এই পোস্টার ফেলে বিজেপির ভেতরের আলোচনা জেনে ফেলা যাবে। আবার তেমনি দলের নীচুস্তরে ভোকাল টনিক হিসেবে কাজ করবে। আর সেই ফসল ঘরে তুলে ফের ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস।
কেমন সেই পোস্টার? নীল–সাদা পোস্টারে মুখ ঢেকেছে বাঁকুড়া শহর। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সভা করছেন, সেই শুনুকপাহাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার একাধিক জায়গায় লক্ষ্যণীয় এই পোস্টার। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতাদের দাবি, লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা। সুতরাং আগামী বিধানসভা ভোটে জয় হবে তাঁদেরই। কেউ কেউ বলছেন, এই সব পোস্টার ফেলে আসলে দিদির চোখে ভালো হতে চাইছেন জেলার নেতারা।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, সরকার গঠন করবেন তাঁরাই। ক্ষমতায় ফিরছেন তাঁরাই। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য কার্যত প্রতিফলিত হচ্ছে এই পোস্টারেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি সক্রিয় হোন। বাড়ি বাড়ি যান। তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনুন। দলীয় সূত্রে খবর, নেতা–কর্মীদের সক্রিয় হতে বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন তিনি। পরিষেবা সাধারণ মানুষ যাতে সময় মতো পান সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে হবে। যদিও বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই অমিত শাহের সফরের পরে ভোটের আগে বাঁকুড়া গিয়েছেন তিনি।’