কলকাতায় নেমেই জানিয়েছিলেন, ‘চোখের চিকিৎসার জন্য’ দ্রুত কলকাতায় ফিরে এসেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক জলঘোলা থামেনি। এমনকী সমান্তরালভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও জল্পনা ছড়ায়। যদিও যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে মুকুল রায় দাবি করলেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন।
আরও পড়ুন : করোনা অ্যাক্টিভ কেসে দুই থেকে নবম স্থানে দিল্লি, প্রথম পাঁচের দোড়গোড়ায় বাংলা
সব জল্পনাকে ‘বানানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে উল্লেখ করে মুকুল বলেন, ‘আমি বিজেপির সঙ্গে আছি। আমি বিজেপি ছাড়ব বলে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন।’
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের চিনা ড্রোনের মোকাবিলায় সশস্ত্র ‘প্রিডেটর-বি’ ড্রোন পাচ্ছে বায়ুসেনা
মুকুলের অনুগামীদের সূত্রে খবর, দুঁদে রাজনীতিবিদের ‘মান’ ভাঙাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লিতে থাকার সময় সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু তখন সময় দেওয়া হয়নি। মুকুল কলকাতায় ফেরার পরদিনই নাড্ডার অফিস থেকে ফোন এসেছিল। পাশাপাশি সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার মুকুলকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জানানো হয়েছে, সেদিন মুকুলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন অমিত শাহ। তার আগে অবশ্য শাহের কাছে মুকুলের ‘গুরুত্ব’ ব্যাখ্যা করেন মোদী ঘনিষ্ঠ বাংলার এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এক বাঙালি রাজ্যসভার সাংসদ। তারপরই মুকুলকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে বিজেপির অন্দরের খবর।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে ভারতকে করোনা মুক্ত করার সংকল্প নেওয়া হোক, দেশবাসীকে আর্জি মোদীর
তাহলে দলে আবারও ‘গুরুত্ব’ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুকুল জোর গলায় গেরুয়া শিবিরের থাকার কথা বললেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধু আশ্বাসে চিঁড়ে ভিজে যাওয়ার মতো লোক নন মুকুল। বরং বিজেপি ত্যাগের কার্যত কোনও সম্ভাবনাই নেই তাঁর। কারণ তাঁর মাথার উপর ঝুলছে সিবিআইয়ের খাঁড়া।