রাজ্য–রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি চর্চায় আছেন শুভেন্দু অধিকারী। যতদিন যাচ্ছে ততই যেন তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য–রাজনীতির বাতাবরণ। তারমধ্যেই শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন আছে, সংকীর্ণতা আছে। আমি ভালো, তুই খারাপ।’ কিন্তু ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি সবার উপরে, দলমত নির্বিশেষে। এখানে কে ভালো, কে খারাপ সেভাবে উল্লেখ করেননি তিনি। তবে এটা তৃণমূল–বিজেপি’র মধ্যেকার তফাৎ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার ঝটিকা সফরে বাঁকুড়ায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। পরে বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোড গ্লোবাল টোয়েন্টি নাইন ক্লাবের ২৭তম বর্ষের কালীপুজো উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়েও সোজা ব্যাটেই খেললেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয় যাই থাক, পদ যাই থাকুক, আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি আপনাদের আত্মার আত্মীয়। আর আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।’ সুতরাং তিনি মানুষের সঙ্গে থাকবেন সে দাবিও করলেন।
উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়া সফরে আসছেন, এই খবরে প্রকাশ্যে আসতেই বাঁকুড়া শহর থেকে জঙ্গলমহল, বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘দাদার অনুগামী’-দের পোষ্টার ফেস্টুন পড়ে যায়। ‘দাদার অনুগামী’-দের সংখ্যা যে এই জেলায় দিন–দিন বাড়ছে এদিন তা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ এদিনের সবকটি কর্মসূচিতেই জঙ্গলমহল–সহ জেলার অসংখ্য শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বাঁকুড়ায় পৌঁছেই প্রথমেই শহরের ভারত সেবাশ্রম সংঘে যান। সেখানে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৮,০০০ পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। পরে শহরেরই গ্লোবাল টোয়েন্টি নাইনের ২৭তম বর্ষের কালীপুজো উদ্বোধন করেন। পরে রবীন্দ্র সরণি ইউনাইটেড ক্লাবের মন্দিরে কালীমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। সব শেষে পুয়াবাগান পঞ্চবটীতে কালীপুজোর উদ্বোধন করে জেলা সফর শেষ করেন তিনি।