নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। কিন্তু নয়া বছরের ৭ জানুয়ারি সেখানে যাচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তা নিয়ে নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, অনেকে তো কর্মসূচি ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান।
সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত ‘অরাজনৈতিক’ সেই ধর্মীয় মিছিলে যোগ দেন। ছিলেন হুডখোলা জিপে। মিছিল শেষে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তাঁর কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। সেই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দুর্বল ভাবা উচিত হবে না।’
‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ থেকেই রাজনৈতিক কথাবার্তা বলবেন না বলেও বিরত থাকতে পারেননি শুভেন্দু। দাবি করেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো’-র নির্দেশে তাঁর ছবিতে কালি ছেটানো হচ্ছে। আর সেই ছবি পাঠাতে বলা হচ্ছে। তারপর নাম না করে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘ভোটের পর প্রমাণ করে দেব, আমার পাশে আছে নন্দীগ্রামের মানুষ।’
তার আগেই আগামী ৮ জানুয়ারির সভায় শুভেন্দুর কতটা জনভিত্তি আছে, তা প্রমাণের আর্জি জানান। নন্দীগ্রামের ১৭ টি অঞ্চল থেকে এক লাখ মানুষকে জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে নাম না করে মমতাকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘অনেকে তো কর্মসূচি ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান। বলেছেন যে পরে করবেন। পরে (সভা) করলে তখন আমি আবার করব।’
এমনিতে নয়া বছরের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে জনসভা যাওয়ার কথা ছিল মমতা। বিধায়কপদে শুভেন্দু ইস্তফা দেওয়ার এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যে জনসভা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পালটা হিসেবে পরদিন (৮ জানুয়ারি) নন্দীগ্রামের ‘জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সোমবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসায় মমতা নন্দীগ্রামের সেই সভায় যাচ্ছেন না।