লকডাউনের জেরে বন্ধ তেন্দুপাতার বিক্রি। তার জেরেই অনাহারে মরতে বসেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটা বিরাট অংশ। কবে লকডাউন উঠবে আর পাতা লরিতে বোঝাই হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের একটা বড় অংশের আয়ের মূল উৎস এই তেন্দুপাতা সংগ্রহ ও বিক্রি। বিড়ি বাঁধতে অপরিহার্য এই পাতার চাহিদা সাধারণত থাকে বছরভর। কিন্তু বিপদ ডেকে এনেছে লকডাউন। যার ফলে গত মার্চ থেকে তালা পড়েছে বিড়িশিল্পে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেন্দু পাতার বিক্রি।
লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বেই রাজ্য সরকার বিড়ি শিল্পকে ছাড় দিলেও শুরু হয়নি তেন্দুপাতার বিক্রি। ফলে ঘরে মজুত মাল পচছে পাতা ব্যবসায়ীদের। কবে আসবেন ক্রেতারা? কবে ফের হই হই করে পাতা বোঝাই হবে লরিতে? সেই দিনের অপেক্ষায় এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষ।
এই কারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বেচাকেনা বন্ধ থাকায় পরিবারে হাঁড়ির হাল খারাপ। দুবেলা ভাত জোটানো মুশকিল হচ্ছে এবার।