টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্যের হাতে টাকা নেই। তাও একাধিক প্রকল্প শুরু করেছেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করেছেন। অথচ তাঁকেই আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য অভিমান ঝরে পড়ল মমতার গলা থেকে। বললেন, ‘সবকিছু করুন। কিন্তু আমায় দুঃখ দেবেন না।’
বুধবার বনগাঁয় জনসভা করেন মমতা। সেখানে কয়েকজন চাকরি সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সামনের দিকে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন মমতা। জানান, সব চাকরিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ থাকে না। তা সত্ত্বেও যতটা পেরেছেন, ততটা চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক সভার মঞ্চ থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি যে না-পসন্দ, তা জানান মমতা। কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘সারাক্ষণ চাই, চাই, চাই। কত দেব আর! দেওয়ারও তো লিমিট আছে একটা।’
মমতা জানান, রাজ্যের সীমিত সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করতে হচ্ছে। কারণ টাকা দিচ্ছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার ফলে রাজ্যের হাতেও টাকা নেই। তিনি বলেন, ‘একটা মানুষ দিচ্ছে বলে আর কত দিতে বলবেন বলুন তো। টাকাটা আসছে কোথা থেকে? কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও দেয় না। বঞ্চনা চলছে। ৮৫,০০০ কোটি টাকা পায় বাংলা সরকার। বঞ্চনা চলছে, আর লাঞ্চনা চলছে। জিএসটিরও ৮,৫০০ কোটি টাকা পাই। এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তার থেকে যে টাকাটা পাই, সেই টাকাটাও দিচ্ছে না। সুতরাং মনে রাখবেন, অনেক কষ্ট করে সরকার চালাতে হয়।’
সেই প্রতিকূলতা-বাধা সত্ত্বেও যেভাবে তাঁর সরকার কাজ করেছে, তা বিশ্বের কোথাও হয়নি বলে দাবি করেন মমতা। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। তারইমধ্যে কিছু আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। অভিমানের সুরে বলেন, ‘সবকিছু করুন। কিন্তু আমায় দুঃখ দেবেন না। আমায় দুঃখ দিলে আপনারা ভাববেন, সেই দুঃখটা নিয়ে অভিমানের সঙ্গে...অনেক সময় মনে হয়, আমার হয়তো থাকাই উচিত নয়। এরা চায় না, এত কাজ করার পরেও। আট বছরে বাংলা যা করেছে, পৃথিবীর কোনও জায়গা দেখাতে পারবেন না (যারা এরকম কাজ করেছে)।’