মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ‘অরাজনৈতিক’ সভা থেকে তিনি কী বলবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তারইমধ্যে মহিষাদলে শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলের পাশে পড়ল 'দাদার অনুগামী'-দের ব্যানার। তাতে দাবি করা হল, পদের প্রতি কোনও মোহ নেই শুভেন্দুর। বরং পদই শুভেন্দুর পিছনে ছুটে বেড়ায়।
রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় ভাষণ দেবেন শুভেন্দু। সেই সভায় তৃণমূল নেতা বা প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দুর নাম রাখা হয়নি। বরং 'তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি'-র সভাপতি হিসেবে আছে শুভেন্দুর নাম। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় তিনি কী বলেন, সেদিকেই নজর আছে রাজনৈতিক মহলের। শুভেন্দু 'কিছু বলবেন' নাকি ধোঁয়াশা বজায় রাখবেন, তা নিয়েও ক্রমশ বাড়ছে গুঞ্জন।
তারইমধ্যে রবিবার সকালে সভাস্থলের কাছে একটি ব্যান্যার দেখতে পাওয়া যায়। 'দাদার অনুগামী'-দের সেই ব্যানারে লেখা, ‘শুভেন্দু অধিকারী পদের পেছনে ছোটে না, পদ শুভেন্দু অধিকারীর পেছনে ছুটে...আমরা দাদার সাথে ছিলাম, আমি, থাকবো..’ সেই ব্যানার দিয়েছে 'আমরা দাদার অনুগামী'-রা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কয়েকজন 'দাদার অনুগামী'-র নামও লেখা আছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রবিবারের ‘অরাজনৈতিক’ সভায় সম্ভবত নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন না তুখোড় রাজনীতিবিদ শুভেন্দু। রাজনৈতিক কথাবার্তাও সম্ভবত বলবেন না। কোন মঞ্চে কী কথা বলতে হয়, তা তিনি ভালোভাবেই জানেন তিনি। তা সত্ত্বেও 'দাদার অনুগামী'-দের সেই পোস্টার যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, 'দাদার অনুগামী'-রা তুলে ধরে চাইছেন যে পদের মোহে তৃণমূলে যে ছিলেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। অন্য দলে যদিও বা যান, তাও পদের মোহে যাবেন না।