গরুচোর সন্দেহে এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারল স্থানীয়রা। রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানা এলাকার কাজিগছ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এক দুষ্কৃতীর দেহ। দেহের পাশ থেকে মিলেছে পাইপগান ও গুলি। কে বা কারা ওই দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারল তা জানতে এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ এক যুবককে এলাকায় দেখেন স্থানীয়রা। গরুচোর সন্দেহে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। এর পরই শুরু হয় গণধোলাই।
প্রাণে বাঁচতে যুবক গুলি চালাতে চালাতে পালাতে থাকেন বলে অভিযোগ। কিছুদূর গিয়ে তাঁকে ফের ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। উন্মত্ত জনতার মারে কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারায় ওই দুষ্কৃতী। খবর যায় চোপড়া থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বিহার ও বাংলা সীমান্তের মাঝে পশ্চিমবঙ্গের সংকীর্ণ ভূভাগ হল চোপড়া। দু দিক থেকেই দুষ্কৃতীদের উৎপাতে সব সময় তটস্থ থাকেন এলাকাবাসী। অচেনা মানুষ দেখলে তাই প্রশাসনের অপেক্ষা করে না কেউ। ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কে বা কারা ওই যুবককে মারল তা জানতে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে নিহত যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।