ডুয়ার্সের জঙ্গলে চোরাশিকারের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল বনদফতর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শিকারের ঘটনায় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেন বনাধিকারিকরা। ধৃত পরিমল বর্মন মণিপুরের চোরাশিকারিদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়িতে মাটি খুড়ে উদ্ধার হয়েছে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি সাইলেন্সার ও কার্তুজ। বনাঞ্চলের পাশে অর্থের বিনিময়ে চোরাশিকারিদের আশ্রয় দেওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগে বনকর্তারা।
গোটা দেশের মতো ডুয়ার্সের বনাঞ্চলেও বন্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। যৌথ বন পরিচালন প্রকল্পের অধীনে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন যোগাযোগ রেখে চলেন বনকর্মীরা। বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় ভিনরাজ্যের চোরাশিকারিদের আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় সেই যোগাযোগে ঘাটতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারি থেকে পরিমলকে গ্রেফতারের সময় একপ্রস্ত নাটক হয়। গ্রামবাসীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সুযোগে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তাকে তাড়া করে ধরেন বনকর্মীরা। ধৃতের বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে মাটি খুড়ে উদ্ধার হয় ২টি পয়েন্ট ৩১৫ রাইফেল ও ৩টি সাইলেন্সর ও বেশ কয়েকটি কার্তুজ।
উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর জানিয়েছেন, ‘গন্ডার হত্যার তদন্তে বড়সড় সাফল্য মিলেছে। আমরা আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করেছি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ জনকে। ভবিষ্যতে আরও গন্ডার হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল চোরাশিকারিদের। এর পিছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বার করার চেষ্টা হবে।’