কুলতলিতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার ২ মাসের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করে বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারকের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই মামলার রায় ঘোষণা হবে শুক্রবার।
গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুলতলির মহিশমারিতে টিউশন পড়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গভীর রাতে এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। আদালতের নির্দেশে কল্যাণী JNM হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করেন এইমসের চিকিৎসকরা। সেই ঘটনায় পরদিনই অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার ২৫ দিনের মাথায় পেশ হয় চার্জশিট। তাতে মুস্তাকিনকেই দোষী বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত হল অভিযুক্ত।
ঘটনার তদন্তে উঠে আসে, অনেক আগে থেকেই নাবালিকাকে নিশানা করে রেখেছিল অভিযুক্ত মুস্তাকিন। ঘটনার দিন এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা। তখনই মাঝপথে মুস্তাকিন তাকে সাইকেলে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। নাবালিকা তাতে রাজি হলে তাকে কাছেই একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। এর পর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফেলে পালায়।