রাজ্যে ফের আক্রান্ত পুলিশ। অবৈধভাবে বালি তোলা এবং পাচারকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের উপর হামলা চালাল বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হল পুলিশ ক্যাম্প। দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং একজন হোমগার্ডকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার উত্তরবেশিয়ার। ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিউড়িতে আক্রান্ত পুলিশ, তৃণমূলের যোগ নেই, দাবি কাজল শেখের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবেশিয়া এলাকায় পুলিশের একটি ক্যাম্প রয়েছে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের একাংশ অবৈধভাবে দামোদরের চর থেকে বালি তুলে পাচার করছে। তাতে বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর ক্ষোভ ছিল গ্রামবাসীদের একাংশের। এরপরে মঙ্গলবার রাতে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল পুলিশ ক্যাম্পে চড়াও হয় এবং ভাঙচুর চালায়। তারা হোম গার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধর করে। জানা গিয়েছে, বিমান সরকার নামে ওই হোমগার্ডকে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা। এছাড়াও, তাদের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন ক্যাম্পের সিভিক ভলান্টিয়ার রঞ্জিত চৌধুরী ও জয়ন্তকুমার খাঁ।
ঘটনার খবর পেয়ে সোনামুখী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছeয়। তখন আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস দামোদরের চর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার জন্য কাপালিমানা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, গত দু'তিন মাস ধরেই দামোদরের চর থেকে অবৈধভাবে বালি করে পাচার হচ্ছে। সেখানে মাঝে মধ্যেই পুলিশ হানা দেয়। এরকমভাবে হানা দিয়ে পুলিশ অবৈধ বালি পাচারে যুক্ত ট্রাক্টর আটক করে। এ থেকে ক্ষোভের জেরেই গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের উপর হামলা চালায়।
জানা গিয়েছে, আহত হোমগার্ড কাপালিমানা গ্রামের ১৯ জনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পে হামলা এবং মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার। এই মামলায় আদালত পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছে।