মাধ্যমিক পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছাত্রী। কিন্তু, বাবার সঙ্গে বাইকে করে যাওয়ার সময় আচমকা একটি গরু এসে তার ওপর আক্রমণ করে। তাতে পা ভেঙে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ঘটনায় প্রথমে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় জানার পরে পরীক্ষার্থীকে দ্রুত ভর্তি করা হয় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের ঢোলকাটা গ্রামের কাছে।
আরও পড়ুন :পরীক্ষা কেমন হচ্ছে? মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের থেকে জানলেন মমতা
জানা গিয়েছে, জখম ছাত্রীর নাম টিনা খাতুন। ওই ছাত্রী আজ বুধবার বাড়ি থেকে বাবার সঙ্গেই বাইকে করে যাচ্ছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে। সেই সময় এক স্থানীয় আদিবাসীর একটি গরুর দড়ি খুলে গিয়ে টিনার পায়ে সজোরে আঘাত করে। তাতে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যায় টিনা। গরুর শিংয়ের আঘাতে পরীক্ষার্থীর ডান পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করতে দেখে আশেপাশে থাকা স্থানীয়রা ছুটে আসেন। আহত ছাত্রীকে প্রথমে সিউড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে চলে আসেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা। পর্ষদ সদস্যের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়৷ তখন তড়িঘড়ি ওই পরীক্ষার্থীকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর্ষদ সদস্যের তৎপরতায় তাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীর চিকিৎসা শেষ হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের বাইরে প্রশ্নপত্র নিয়ে অপেক্ষা করেন পর্ষদের সদস্যরা।
এবিষয়ে পর্ষদ সদস্য অভিজিৎ নন্দন বলেন, ‘ছাত্রীটি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীকে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যায়। তখন ছাত্রীর বাবাকে বোঝাই যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সরকারি হাসপাতালে সেটা সম্ভব। এরপর আমরা ছাত্রীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। ছাত্রীর পা ভেঙে গিয়েছে। তবে সে এখন সুস্থ রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। এর জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পর্ষদের সঙ্গেও কথা হবে বলে তিনি জানান। পরবর্তীতে জানা যায় সেখানেই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পর্ষদের এই পদক্ষেপে খুশি পরীক্ষার্থীর বাবা দিল বাহার শেখ।