বুধবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল হুগলির হরিপালে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল পর্যটক বোঝায় বাস। ঘটনায় কমপক্ষে ৩৫ জন পর্যটক আহত হয়েছেন। এছাড়াও একজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে ৬৭ জনের একটি দল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় ঘুরতে গিয়েছিলেন। গত সোমবার তাঁরা সেখানে ঘুরতে যান। এরপর আজ বুধবার তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। কলকাতার দিকে আসার সময় আচমকা ভোর ৪ টে নাগাদ হুগলির হরিপালের অহল্যাবাঈ রোডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা সকলকেই একে একে উদ্ধার করে। এরইমধ্যে পুলিশও যায় এই ঘটনাস্থলে। আহত ৩৫ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা হাতে, পায়ে এবং মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। মৃত পর্যটকের নাম তাপসী হালদার। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টির খোঁজ নেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি গুরুতর আহতদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পর্যটকদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার সময় সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাসচালকও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর জায়গায় বাস চালাচ্ছিলেন হেল্পার। দ্রুত গতিতে বাসটি প্রথমে একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। তারপরেই উল্টে যায় নয়ানজুলিতে। এই ঘটনায় চালকের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন পর্যটকরা। অন্য দিকে, রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম বলেন, অযোধ্যা থেকে ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসের সকলেই কম বেশি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে হরিপাল এবং চন্ডীতলা থানার পুলিশ যায়। স্থানীয়রাও উদ্ধারের কাছে সাহায্য করেন। যাত্রীদের বাড়িতে ইতিমধ্যে খবর দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।