চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে আলিপুরদুয়ারের পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শীলবাড়ি হাট ঘাটপার গ্রামে। গত কয়েকদিনে চিতা বাঘের হামলায় জখম হয়েছেন ১০ জন। যার মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বনকর্মী। চিতাবাঘ ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বনকর্মীরা। এই অবস্থায় বনদফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের হুঁশিয়ারি, চিতাবাঘটিকে দ্রুত না ধরলে তারা প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৪৮ ঘণ্টায় চিতাবাঘের হামলায় একের পর এক জখম হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। গত রবিবার আবদুস সালাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুরপাড়ে গিয়েছিলেন সেই সময় আচমকা চিতাবাঘ তার ওপর হামলা চালায়। একইভাবে সেখানে সজনে পাতা আনতে গিয়ে রেজিনা বিবি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দারা ওপর হামলা চালায় চিতা। তিনি পালাতে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছেন। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবাবরের সদস্যরা। এরপরে বনদফতরে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের বনকর্মীরা চিতাবাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন। তারপরেও চিতাবাঘ ধরা পড়েনি। বনকর্মীরা এই ঘটনাকে পাগলা কুকুরের কাণ্ড বলে দাবি করেন।
কিন্তু, দেখা যায় তার পরেই একের পর এক হামলা চালায় চিতাবাঘ। যদিও এখনও পর্যন্ত চিতা বাঘের হামলায় কোনও প্রাণ যায়নি। তবে চিতাবাঘ ধরতে না পারলে সে ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীর। এরপরে বন কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ঘটনায় চিতাবাঘটিকে ধরতে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা। ছাগল দিয়ে তোপ দেওয়া হয়। তারপরেও সারারাত ধরে চিতা বাঘ ধরা পড়েনি।