বহরমপুরের পর এবার সমবায় সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমবায় বাঁচাও কমিটি। বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরকে হামলা চালায় দুপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। পুলিশের ওপরেও হামলা চালানো হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। রায়দিঘি মধুসূদন চক সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দকুমার এলাকা।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা, মাথা ফাটল কংগ্রেস কর্মীর
জানা যায়, রবিবার এই সমবায় সমিতিতে ভোট গ্রহণ হয়। এরপর ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা হয়। অভিযোগ, ভোট গণনায় সমবায় সমিতির প্রার্থীরা এগিয়ে যেতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সমবায় বাঁচাও কমিটির প্রার্থীরা নির্বাচনে এগিয়ে যেতে থাকলে তারা বিজয় উল্লাস শুরু করে। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর তারা হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত, সমবায় বাঁচাও জোটে সমর্থন রয়েছে বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ। এই সমবায় সমিতিতে মোট ৪১টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ১৮ টিতে এবং সমবায় জোটের প্রার্থীরা ২৩টিতে জয়ী হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমবায় সমিতি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। জানা গিয়েছে, এদিন দু'পক্ষ একে অপরকে লাঠি বাস নিয়ে হামলা চালায়। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। আহতদের রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের পরবর্তীকালে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আহতরা বেশিরভাগ মাথায়, ঘাড়ে এবং হাতে চোট পেয়েছেন। সিপিএমের দাবি, সমবায় বাঁচাও কমিটি ২৩টি আসন পেয়েছে। শাসক দলের লোকজনই হামলা চালিয়েছে। তাদের সমর্থরা বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। বিজেপির অভিযোগ, সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল গুন্ডামি করছে। যদিও সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষকে রাজনৈতিক নয় বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, এটা সাধারণ মানুষের নির্বাচন। তবে সমবায় নির্বাচনে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়।